.webp)

.webp)

আমরুল গুড়া
- Status: Stock In
আমরুল গুড়া পাইকারি নিতে মেসেজ করুন
-> ঢাকা সিটির বাহিরে হোম ডেলিভারি 150৳
-> কুরিয়ার অফিস থেকে ডেলিভারি 120৳
আমরুল ছেট ছোট, সরু লতানো উদ্ভিদ। এটি মাটিতেই প্রসারিত হয়। আম রুক বা রোগ নাশ করে বলে একে কোথাও কোথাও অামরুক বলে। পাতায় তিনটি করে হৃৎপিণ্ডের আকারের টক স্বাদের পত্রক থাকে বলে একে চুকাত্রিপতীও বলা হয়। কোথাও কোথাও এটিকে অম্বলী এবং শুশুক পাতাও বলে। সাধারণত এটি বাড়ির আনাচে-কানাচে ও পোড়ো জমিতে এবং কখনো বা বাঙাবাড়ির গায়ে দেখা যায়। শিকড় থেকে গুচ্ছবদ্ধভাবে প্রায়ই ৪টি করে ৭-১০ সে.মি. লম্বা সরু দণ্ডের/বৃন্তের মাথায় তিনটি পত্রকবিশিষ্ট পাতা ছাতার ন্যায় গজায়। বৃন্তের/ডাঁটায় গোড়া থেকে গজানো লম্বা দণ্ডের মাথায় ছোট ছোট হলুদ রঙের ফুল হয়। ফল আকারে যবের মতো। প্রতিটি ফলের মধ্যে ছোট ছোট অনেক বীজ থাকে। অনেকে একে সুষণী শাক (Marsilea quadrifolia) বলে ভুল করে থাকেন। এ দুটি শাকের মধ্যে তফাত হল সুষণী শাকের পাতায় চারটি পত্রক থাকে এবং এটি স্বাদেও টক(অম্ল) নয়।
বিস্তৃতি
ভারত ও বাংলাদেশের সর্বত্র অমরুল দেখা যায়। আমরুলের অন্য একটি প্রজাতি ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার মিটার উচ্চতার মধ্যে পাওয়া যায়।
ঔষধি গুণ:
১। আম দোষ দূল করে বলে এটির এক নাম আমরুক, যা আগেই উল্লেখ করা।
২। টাটকা পাতার রস ধুতরার মাদকতা নিবারণ করে এবং রক্ত আমাশয় রোগে হিতকর।
৩। আমরুল রস জ্বরনাশক। জ্বর চিকিৎসায়, আমাশয় এবং স্কাভি রোগে ব্যবহার ওষুধের অন্যতম ভেষজরুপে আমরুল পরিচিত।
৪। শাক রান্না করে খেলে ক্ষুধা বৃদ্ধি হয়। এটি হজমকারক।
৫। কোন স্থানে ফোড়ায় যন্ত্রণা হলে আমরুলের পাতা বেটে প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা লাঘব হয়। পাতা গরম জলে বেটে ফোড়ায় প্রলেপ দিলে ফোড়া ফেটে যায়।
৬। বিছু কামড়ালে আমরুলের পাতার রস যন্ত্রণা লাঘব করে (Moodeen Sheriff)।
৭। পুরাতন আমাশয় রোগে মাখন তোলা দুধের সাথে আমরুল পাতা সিদ্ধ করে দিনে ২/৩ বার খেলে বিশেষ উপকার হয়। (Kirtikar, et al, 1935)
৮। মুখের দুর্গন্ধনাশে ও দন্ত শোধনের জন্য আমরুল ব্যবহার হয়।
৯। আমরুল পাতার রস অল্প চিনির সাথে মিশিয়ে শরবতের মতো খেলে আমাশয় রোগজনিত পিপাসার শান্তি হয়।
১০। শিশুদের বুকে সর্দি বসে গেলে অথবা কাশি হলে মূলসহ আমরুল পাতার এক চামচ রস গরম করে দিনে ১ বার বা প্রয়োজনে ২ বার খাওয়ালে জমা সর্দি উঠে যায়। সরিষার তেলের সাথে আমরুলের রস মিশিয়ে গরম করে বুকে-পিঠে মালিশ করলে আরো ভালো হয়।
১১। অনেকে টক খেতে ভালবাসেন, কিন্তু খেলে অম্ল হয়। এক্ষেত্রে আমরুল ব্যবহার শ্রেয়। কারণ এতে আছে অম্ল, মধুর ও কষায় এ তিনটি রসের সমন্বয়। তাই অামরুল অম্লপিত্ত রোগ না বাড়িয়ে অতৃপ্ত রুচিকে তৃপ্ত করে।
১২। অমরুলের জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে (Ghani, 2003), তাই গায়ে চুলকানি অনেক সময় পাঁচড়া হয়ে যায়, মনে হয় যেন দাদ হয়েছে। এমন ক্ষেত্রে অমরুল পাতার রস গায়ে মাখলে উপশম হয়।
১৩। মূত্রগ্রহ রোগ হলে অর্থাৎ প্রস্রাবের বেগ হয় কিন্তু হয় না-অনেক ক্ষেত্রে অপারেশনের দরকার হয়। এরুপ ক্ষেত্রে আমরুল পাতার রস ২ চা চামচ করে প্রতিদিন ৪ বার আধা কাপ পানি মিশিয়ে খেলে ঐ অসুবিধা সেরে যায়।
কম দেখুন